top of page
Writer's pictureTofazzal Diner

Khoiyachora Waterfalls


 গ্রামের মেঠো পথ, বাড়ির উঠান, খেতের আইল ধরে হাঁটি। একটা সময় পাহাড় আর ঝোপঝাড়ের আড়ালে সূর্য লুকায়। দ্রুত ঘড়ি দেখি, না এখনো দিন ফুরোনোর অনেক বাকি। নতুন উদ্যমে পা দুটোকে আরো বেশি সচল করি, নতুন কিছু দেখতে পাব এই আশায় বুক বেঁধে এগিয়ে যাই, একসময় পেয়ে যাই ঝিরি। এখন ট্রেইল হবে ভিন্ন রকম—


মুলিবাঁশের সাঁকো, ঝিরির ঠাণ্ডা পানি আবার কখনোবা হাঁটু পর্যন্ত দেবে যাওয়া রসালো কাদা মাড়ানো পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যাই দীর্ঘ দিন ভ্রমণ পিপাসুদের চোখের অন্তরালে থাকা রিমঝিম শব্দ তুলে আপন গতিতে ছুটে চলা খৈয়াছড়া ঝরনার কাছে। ওহ্! আল্লাহ্ কত সুন্দর তোমার মহিমা! চারপাশে ঘন সবুজ অরণ্য, তার মাঝে মনে রং ধরানো খৈয়াছড়া। কিছুটা সময় অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি। প্রায় আশি ফিট উচ্চতা থেকে ২০ থেকে ২৫ ফিট ব্যাসার্ধ নিয়ে তীব্র গতিতে পানি পড়ে। হতাশার অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া যেকোনো মানুষই খৈয়াছড়ার রূপ-লাবণ্যে মুগ্ধ হয়ে নিজেকে নতুন করে সাজাবে নিঃসন্দেহে! পানির ক্ষীপ্রতায় ঝরনার সামনে বেসিন তৈরি হয়েছে। সেই হিম হিম ঠাণ্ডা পানিতে কি যে ফুর্তি বলে বোঝানো যাবে না। ঝরনার শীতল পানিতে দীর্ঘ সময় গোসল করি, তবু সাধ মিটে না! যেকোনো ঝরনার আসল রূপ সৌন্দর্য দেখার সুবর্ণ সময় হলো আগস্ট ও সেপ্টেম্বর। খৈয়াছড়া ঝরনার আশপাশেও আরো বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ঝরনা আছে। সম্পূর্ণ বুনো পরিবেশে খৈয়াছড়া ঝরনার অবস্থান। দেশের বিশেষ কয়েকটি ঝরনার মধ্যে খৈয়াছড়া ঝরনার ভৌগলিক সৌন্দর্য বর্ণনাতীত। ইচ্ছে করলে জোছনা রাতে ক্যাম্প করে জম্পেশ আড্ডা জমিয়ে রাত কাটানো যাবে। খৈয়াছড়া ঝরনার অবস্থান, আকৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, রোমাঞ্চকর ট্রেইল—সবকিছু মিলিয়ে এক অনন্য ভ্রমণস্থান। 

24 views1 comment

1 comentario


dinertousif
dinertousif
26 jul 2020

I never seen like This Waterfalls i my Life.

Me gusta
bottom of page